Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ জুলাই ২০২৩

ইতিহাস ও কার্যাবলী

ঢাকা মশক নিবারণী দপ্তরের ইতিহাস ও কার্যাবলীঃ

          ইতিহাসঃ

১৯৪৮ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে “ঢাকা মশক নিবারণী দপ্তর” প্রতিষ্ঠা লাভ করে। অর্থ বিভাগের সম্মতিক্রমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং-পি-২/আইই/৪৬/৭৭-৪০৭, তারিখঃ ১৪/০৭/১৯৭৮ ইং মূলে তৎকালীন ৩৩৮ জন কন্টিনজেন্ট স্টাফের পদসমূহ নিয়মিত (Conversion into Regular Establishment) করা হয়। ২৬/০৬/১৯৮০ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উক্ত দপ্তরের জনবল, সম্পদ/যন্ত্রপাতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে স্থানীয় সরকার বিভাগে স্থানান্তর করা করা। ১৯৮২ সালে সরকার কর্তৃক গঠিত চাকুরী পুনবিন্যাস কমিটি (এনাম কমিটি) স্থানীয় সরকার বিভাগের সাথে সংযুক্ত কার্যালয় ‘ঢাকা মশক নিবারণী দপ্তর (Mosquito Control Office, Dakeswari Road, Dacca-5) হিসেবে গণ্য করে ৩৯৬টি পদ সৃজন, ৩টি যানবাহন ও অন্যান্য অফিস সরঞ্জামাদি অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করেন। ১৯৯২ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের এস, আর, ও নং-১৭০-আইন/৯২ পৌর-১/ ডিএম-৩/৯০, তারিখে-২৮/০৬/১৯৯২ ইং মূলে ঢাকা মশক নিবারণী দপ্তরের কর্মকর্তা/ কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৯২ প্রণয়ন করা হয়। এছাড়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ এবং প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি’র সুপারিশক্রমে উক্ত দপ্তরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা-০১টি পদ সৃজন করা হয় । ঢাকা মশক নিবারণী দপ্তরের সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী অনুমোতিদ পদ সংখ্যা মোট ৩৯৬ টি। মাঠ পর্যায়ে কর্মচারীগণ প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা উত্তর/দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে সংযুক্ত আছেন।

কার্যক্রম সমূহঃ

১.     ঢাকা মশক নিবারণী দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীগণ প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মতে ঢাকা উত্তর/দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি অঞ্চলের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত (সংযুক্ত) আছেন। প্রতিটি অঞ্চলের সমস্ত স্প্রেম্যান ও মশক নিবারণী দপ্তরের কর্মচারীগণ একত্রে এক বা একাধিক ওয়ার্ডে সমন্বয়ে প্রতিটি এলাকায় সকালে লার্ভিসাইডিং ও বিকালে এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে প্রতিটি এলাকা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে কীটনাশক ছিটানোর আওতায় পড়ছে। এ ছাড়াও ভি,আই,পি এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে উভয় প্রকার কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে এবং ভেহিক্যাল মাউন্টেড মেশিন দ্বারা বড় বড় ডোবা, নালা, খাল, বিল/ঝিল ও পুকুর সমূহে লার্ভি সাইড ছিটানো হচ্ছে। ঢাকা উত্তর/ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ এই কাজ সার্বক্ষণিক দেখাশুনা করছেন এবং কেন্দ্রীয়ভাবে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/সহকারী পরিচালক, ঢাকা মশক নিবারণী দপ্তর  এই কাজের সমন্বয় সাধন ও মনিটরিং করে করছেন।

২.     চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মত মৃত ঝুঁকিপূর্ণ রোগের প্রার্দুভাবকালীন সময়ে ঢাকা মশক নিবারণী দপ্তরের  কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ জনগণের সচেতনা বৃদ্ধিসহ সামনের সারির সহযোদ্ধা হিসাবে মশকের প্রার্দুভাব মোকাবেলা করে যাচ্ছেন।

৩.    কোভিড-১৯ এর সময়কালীন এ দপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মচারীগণ সরকারি ছুটির দিনসহ নিয়মিতভাবে মশক    নিধনের কাজ করে করছেন। মশক প্রজনন মৌসুমে উৎপাদন বা প্রকোপ রোধকল্পে ঢাকা মশক নিবারণী দপ্তর ও ঢাকা উত্তর/দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সমন্বয়ে যৌথভাবে জরুরী ভিত্তিতে ক্রাশ প্রোগ্রাম গ্রহণ করা হয়। ক্রাশ প্রোগ্রামের সময় সংশ্লিষ্ট এলাকার সম্মানিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ আঞ্চলিক পর্যায়ে বিভিন্ন অংশীজনদের নিয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এছাড়াও সরকার কর্তৃক সময় সময় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ সঠিকভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে।

 ৪.       অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা উত্তর/ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর ক্রয়কৃত কীটনাশক ঢাকা মশক নিবারণী দপ্তরের গুদামে সুনামের সাথে সংরক্ষণ ও চাহিদা মোতাবেক বিতরণ করা হচ্ছে।

৫.       ঢাকা মশক নিবারণী দপ্তরের দপ্তর প্রধান ঢাকা উত্তর/ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন কাজে ব্যবহৃত কীটনাশক, যন্ত্রপাতি ক্রয়ে “ক্রয় ও যাচাই-বাছাই” কমিটির সদস্য সচিব/সদস্য হিসেবে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছেন।

৬.        কেন্দ্রীয়ভাবে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে কীটনাশক পরীক্ষার উপযোগী করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা কমিটির নিকট সরবরাহ করা হচ্ছে।